যমুনা ঢাকির সেটে কনের সাজে শ্বেতাকে দেখে রুবেল ঠিক করে ফেলেছিলেন এই মেয়েটাকেই বিয়ে করব! তারআগে অবশ্য শ্বেতার চোখে ছিল অন্য কারুর সঙ্গে ঘর বাঁধার স্বপ্ন। ৯ বছরের সম্পর্ক ভেঙে মন খারাপের মেঘে নিজেকে ঢেকেছিলেন নায়িকা। শ্বেতার মনের ক্ষত সারান রুবেল। এরপর দুই পরিবার অনুঘটকের কাজ করে। অবশেষে ২০২৫ সালের ১৯শে জানুয়ারি প্রজাপতি ঋষির আর্শীবাদ নিয়ে সাত পাকে বাঁধা পড়বেন শ্বেতা-রুবেল। আরও পড়ুন-‘হাতে পায়ে ধরেছি….’, রবিবার ♏বিয়ে, হচ্ছে না শ্বেতা-রুবেলের হানিমুন! বাধ সাধল কে?
জি বাংল🤡ার দুই জনপ্রিয় মেগা প্রধান মুখ তাড়া। কাজের ব্যস্ততা সামলেই এতদিন বিয়ের আয়োজন সেরেছেন। রাত পোহলেই বিয়ে। দুই বাড়িতেই চরম ব্যস্ততা। এতদিন বন্ধু, শ্যুটিং সেট থেকে শুরু করে আত্মীয়দের ܫবাড়িতে কব্জি ডুবিয়ে আইবুড়ো ভাত খেয়েছেন শ্বেতা-রুবেল। শনিবার নিজেদের মায়ের হাতে আইবুড়ো ভাত খেলেন তাঁরা।
শ্বেতার আইবুড়ো ভাতের লুক ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। গোলাপি ভারী সিল্কের শাড়িতে ঠিক যেন রাজরানি শ্বেতা। সঙ্গে পার্ল চোকার, রানি হার এবং গলায় গোলাপ, সূর্যমুখী আর বেলফুলের মালা। হ্যাঁ, আইবুড়ো ভাতে ফুলের সাজে নিজেকে সাজালে🔯ন ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’ নায়িকা। কানে সাবেকি কানবালা। ছিমছাম সাজেই ধরা দিলেন রুবেলের হবু বউ। নজর 💙কাড়ল নায়িকার একঢাল চুল।
ভাত, পাঁচ রকম ভাজা, ডাল, সুক্তো, মাছ থেকে পায়েস, মিষ্টি, দই, চাটনি- শ্বেতার আইবুড়ো ভাতের মেনু ছিল ভরপুর। মাটির থালায় সাজিয়ে আ🏅ইবুড়ো ভাত পরিবেশন করা হয়েছিল শ্বেতাকে। নিজের হাতে মেয়েকে দই-পায়েস খাইয়ে দিলেন শ্বেতার মা।
বৈদিক মতে বিয়ে সারবেন শ্বেতা-রুবেল। বিয়ের পৌরহিত্য করবেন নন্দিনী ভৌমিক। হবে না কন্যাদানের মতো বিধি। বরের কপালে সাম্যের সিঁদ🌳ুর ছুঁইয়ে দেবেন শ্বেতা। বিয়ের জন্য দমদম ইমামি সিটির বিপরীতে রাজা প্যালেস বুক করেছেন শ্বেতা। বিয়েতে মিডিয়ার প্রবেশ নিষিদ্ধ। থাকছে🌸 এলাহি আয়োজন। সাজ থেকে মেনু, শ্বেতার বিয়েতে প্রাধান্য পাবে বাঙালিয়ানা।
বিয়েরসাজে কোনওরকম এক্সপেরিমেন্ট নয়, লাল বেনারসিতেই নিজেকে সাজাবেন শ্বেতা। 🧔বিশেষ দিনে শ্বেতার পাশে থাকবে তাঁর অনস্ক্রিন পরিবার। পৌঁছাবে নিম ফুলের মধুর টিমও। বাবুর বিয়ে বলে কথা!
বিয়ে সারলেও মধুচন্দ্রিমায় যাওয়া হবে না শ্বেতা-রুবেলের। কারণ নিজের মুখেই জানিয়েছেন শ্বেতা। এই মুহূর্তে কোন গোপনে মন ভেসেছে ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে দেখা মিলছে শ্বেতার। হানিমুনের নাম শুনেই তিনি বলেন, ‘ওরে বাবা! ছুটিই দেবে না। বিয়েতেই ছুটি দেবে না বলছিল, তিন দিন ছুটি দিয়েছিল। বিয়ের দিন, পরে⭕র দিন, আর বৌভাতের দিন’।
শ্বেতা আরও বলেন, ‘আমি হাতে পায়ে ধরে ৫ဣ দিন ছুটি নিয়েছি। বিয়ের আগের দিন থেকে ছুটিতে। বলেই দিয়েছে, এই ছুটি, আর কোনও ঘুরতে যাওয়া নয়। রুবেলের তো আরও চাপ, ওর তো সাত দিনের শো।’
শ্যুটিংয়ের এই ব্যস্ততার জন্যই প্রাক-বিয়ের অনুষ্ঠানের কোনও ♏তামঝাম রাখেননি। শনিবার রাতে বাড়িতেই মেহেন্দি🐷 পরবেন শ্বেতা, হবে নাচ-গান। আপতত কনের বেশে শ্বেতাকে দেখার অপেক্ষায় অনুরাগীরা।