👍 মাইসুরু আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (মুডা) জমি কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলায় ৩০০ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। ১৪২টি স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে এই তালিকায়। এরপরেই সিদ্দারামাইয়ার সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: 💯সস্ত্রীক সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে তিনমাসে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ
꧋শুক্রবার ইডির তরফে জানানো হয়েছে সিদ্দারামাইয়া এবং অন্যদের বিরুদ্ধে মামলার ক্ষেত্রে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (PMLA) ২০০২-এর অধীনে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বাজারমূল্যের ১৪২টি স্থাবর সম্পত্তি সংযুক্ত করা হয়েছে। ইডি জানিয়েছে, এই সব সম্পত্তি বিভিন্ন ব্যক্তির নামে ছিল। তাঁরা মূলত রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী এবং এজেন্ট হিসাবে কাজ করছিলেন। ইডির অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মুডার জমি অধিগ্রহণ করেছিলেন সিদ্দারামাইয়া। এরপরে ১৪টি জমি স্ত্রীর নামে করেছিলেন। আর সেই কাজে সাহায্য করেছিলেন প্রাক্তন মুডা কমিশনার ডিবি নাতেশ।
𓆏এরপরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি বি ওয়াই বিজয়েন্দ্র এক্স পোস্টে বলেছেন, ‘সিদ্দারামাইয়া তাঁর অফিসের সততাকে যদি মূল্য দেন, তাহলে তাঁকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। এই ঘটনায় তদন্তকে নিরপেক্ষভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিতে হবে। কর্ণাটকের জনগণ স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং ন্যায়বিচারে বিশ্বাস রাখে।’ শিকারীপুরার বিধায়ক এটিকে কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি বড় জয় বলে উল্লেখ করেছেন । উল্লেখ্য, ওই জমিটি মুডা অধিগ্রহণ করেছিল। ১৪টি জমির ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫৬ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল মুডা। আর সেই জমি ছিল মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রীর নামে বলে অভিযোগ।
🌊বিজয়েন্দ্র অভিযোগ করেছেন, যে ইডি-এর তদন্তে সিদ্দারামাইয়া জড়িত থাকার উল্লেখযোগ্য তথ্য উঠে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর স্ত্রীর নামে অবৈধভাবে জমি বরাদ্দ করার জন্য রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করেছিলেন বলে অভিযোগ। উল্লেখ্য, এই মামলায় আগেই রাজ্যপাল গেহলট মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছিলেন। গত বছরের জুলাইয়ে জারি করা নোটিশে মামলা থেকে বিরত থাকার বিষয়ে সাতদিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জবাব চাওয়া হয়েছিল। আর তারপরে এবার এত টাকা মূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি।