সইফ আলি খানকে আক্রমণ চালিয়ে🌼ছে যে ব্যক্তি তার থেকে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে আরও একাধিক তথ্য। পুলিশের তরফে নিশ্চিত ভাব জানানো হল কোন পথে সে উঠেছিল অভিনেত্রীর বাড়িতে। সেই কাণ্ড ঘটিয়েই বা কী করছিল।
কী জানা গেল?
সইফ আলি খান তাঁর পরিবার নিয়ে বান্দ্রার যে বাড়িতে থাকেন সেটার ১৩ তলায় অভিনেতাদের বাড়ি। কিন্তু খালি বাড়ি ঢোকা নয়, অত উপর অবধি সেই ব্যক্তি সবার নজর এড়িয়ে উঠল কীভাবে সেটাই 🍎জানাল পুলিশ। তাঁদের তরফে জানানো হয়েছে এই কাণ্ড ঘটিয়ে সেই ব্যক্তি ওই এলাকায় সকাল সাতটা পর্যন্ত ছিল। শুধু তাই নয়, পটবর্ধন গার্ডেন এলাকার একটি বাসস্ট্যান্ডে একটা বাসে সে আশ্রয় নেয়। সেখানেই ঘুমায়। তারপর সকালের দিকে মুম্বইয়ের ওয়ার্লি থেকে ট্রেন ধরে।
PTI কে এক তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন এই ব্যক্তি সাত আট তলা পর্যন্ত সিঁড়ি দিয়ে উঠেছেন। তারপর ডাক্ট এরিয়া দিয়ে পাইপ বেয়ে বারো তলায় ওঠে। বেরোয় বাথরুম দিয়ে। সেখানেই সইফ আলি খানের বাড়ির এক পরিচারিকার মুখোমুখি হয় সে। এরপরই বাকি ঘট♔না ঘটে।
আটক সইফের হামলাকারী
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে তাঁরা এই ব্যক্তির ১৪ দিনের রিমান্ড চেয়েছেন। আগামী ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত সেই ব্যক্তি পুলিশ কাস্টওডিতে থাকবে। এই কদিনের মধ্যে পুলিশ জানার চেষ্টা করবে তাকে কি কেউ এই বাড়িতেই ঢুকতে হবে তেমন নির্দেশ দিয়েছিল, ভারতে সে ঠিক কীভাবে ঢোকে সেসব তথ্য। একই সঙ্গে সইফ আলি খানকে সে যে ছুরি দিয়ে আঘাত করেছে সেটা তিন টুকরো হয়েছে দুটো টুকরো পাওয়া গেলেও বাকি একটা টুকরো পাওয়া যায়নি। একই সঙ্গে সেই ব্যক্তি যে পোশাক পরে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে সেটাও বাজেয়াপ্ত করতে হবে।
আরও পড়ুন: জীবিত থাকলে আজ হত ৯০, কেন ইচ্ছা থাকলেও আত্মজীবনী লেখেননি সৌমিত্র চট্টো❀পাধ্যায়﷽?
প্রসঙ্গত এদিন সকালেই প্রকাশ্যে আসে যে সইফ আলি খানকে যে ব্যক্তি হামলা করেছে সে আসলে বাংলাদেশি। সে পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর কখনও নিজের নাম বিজয় দাস জানিয়েছে ত♍ো কখনও মহম্মদ ইলিয়াস বলেছে। পরে জানা যায় তার আসল নাম মহম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ। এই ব্যক্তির বয়স ৩০। এই ব্যক্তিকে🗹 তারা থানে এলাকার কাছে হিরানন্দানি এস্টেটে TCS কল সেন্টারের ঠিক পিছনে থাকা নির্মীয়মান মেট্রোর কাছে অবস্থিত একটি ঘন ম্যানগ্রোভ জঙ্গলে লুকিয়ে ছিল। শুকনো পাতায় ঢেকে রেখেছিল সেই ব্যক্তি নিজেকে।