ভারতীয় ক্রিকেটে ‘WAGs’ (Wives And Girlfriends) সংস্কৃতি অর্থাৎ স্ত্রী ও বান্ধবীদের উপস্থিতি নিয়ে নতুন নির্দেশিকা দেওয়ার পরেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তবে এটি 🌞খেলার জগতে প্রথমবারের মতো কোনও ঘটনা নয়। এটি ক্রীড়াজগতে আলোচনায় আসে ২০০০-✱এর দশকের গোড়ায়। এটি মূলত ইংল্যান্ড ফুটবল দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গিনীদের বোঝাতে ব্যবহার করা হত। যারা জাতীয় দলের সফরে খেলোয়াড়দের সঙ্গে থাকতেন। ২০০৬ বিশ্বকাপে জার্মানিতে ইংল্যান্ড দলের এই বিষয়টি গণমাধ্যমে সামনে আসে। এরপরেই WAGs বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসে।
এরপর থেকে এটি শুধু ফুটবল নয়, অন্যান্য খেলাধুলাতেও প্রচলিত হয়ে যায়, ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚভারতীয় ক্রিকেটেও এর ছাপ পড়তে থাকে। ভারতীয় ক্রিকেটে পরিবারের সফর করার ঐতিহ্য রয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেটে স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে সফর করা নতুন কিছু নয়। এটি কমপক্ষে ৪৫ বছর ধরে চলে আসছে।
আরও পড়ুন… এটা কোনও স্কুলও নয়🐻: BCCI-র নতুন নিয়ম যে কোনও শাস্তি নয় সেটাই বোঝালেন অজিত আগারকর
তবে বর্তমানে এটি নতুনভাবে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে, কারণ এক পুরনো নিয়ম আবার চালু হচ্ছে, যেখানে পরꦇিবার সঙ্গে থাকার সময়সীমা ও শর্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। এই নিয়মের উদ্দেশ্য হল ‘টিম স্পিরিট’ বজায় রাখা, যদিও অনেকের মতে এটি পারফরম্যান্সের ব্যর্থতার জন্য স্ত্রীদের দোষারোপ করার সামিল বলে মনে হচ্ছে।
একজন ভারতীয় ব্যাটিং কিংবদন্তি একবার বলেছিল💮েন, ‘আগে খেলোয়াড়রা এক রুমে দু'জন থাকতেন। মাঝপথে কারও স্ত্রী সফরে এলে, তার রুমমেট সৌজন্যবশত বেরিয়ে যেতেন এবং সাধারণত ফাস্ট বোলারদের রুমে চলে যেতেন, কারণ তারা পিঠের যত্ন নেওয়ার জন্য বিছানার বদলে মেঝেতে ঘুমাতেন। ফলে তাদের রুমে খালি বিছানা থাকত!’ ২০০০ সালের আগে পর্যন্ত, ভারতীয় ক্রিকেটারদের জন্য ব্যক্তিগত রুম বরাদ্দ করা হত꧑ না। স্ত্রী-সন্তানরা আসলে বিশেষ অনুমতি নিয়ে থাকার ব্যবস্থা করা হত এবং এটি পুরো দলের মধ্যেই আনন্দের পরিবেশ তৈরি করত।
আরও পড়ুন… FIFA World Cup 2030-এর জন্য মরক্কোতে ৩০ লক্ষ পথক🌃ুকু🍷র হত্যা করা হবে! কারণ জানলে অবাক হবেন
ভারতীয় দল আন্তর্জাতিক সফর বাড়ানোর পর আনুষ্ঠানিক নিয়ম চালু করা হয়। কোভিড-১৯ অতিমারির আগে পর্যন্ত, এই নিয়মগুলো পুরোপুরি মানা হয়নি। স্ত্রী-সন্তানদের কখনও কখনও দলের অফিসিয়াল ফটোতে দেখা যেত, কিন🦹্✃তু এটি কখনও বিতর্কের মাত্রায় পৌঁছায়নি। কিন্তু কোভিড-১৯ পরবর্তীতে ছবিটা বদলে যায়। অতিমারির সময় শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর জোর দেওয়া হয়, ফলে স্ত্রী-সন্তানদের সফরে থাকা সহজ হয়ে যায়।
বিসিসিআই খে💧লোয়াড়দের পরিবার নিয়ে থাকার অনুমতি দেয়, কারণ প্রত্যেক খেলোয়াড় তখন আলাদা রুম পেতেন। এটি খেলোয়াড়দের প্রতি বিসিসিআই-এর মানবিক মনোভাবের প্রমাণ দেয়, যা তখনকার কঠিন সময়ের জন্য ইতিবাচক ছিল।
আরও পড়ুন… Champio✃ns Trophy: মহম্মদ সিরাজকে বাদ দেওয়ার আসল কারণ জানালেন রোহিত শর্মা
নতুন নির্দেশিকাতে কী বলা হচ্ছে-
অস্ট্রেলিয়া সফরে ১-৩ ব্যবধান𒊎ে হারের পর বিসিসিআই নতুন নিয়ম চালু করেছে। সফর চলাকালীন শৃঙ্খলা ও একতাকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য নতুন নিয়ম আরোপ করা হবে।
এখন প্রশ্ন হল অস্ট্রেলিয়া সফরে কী হয়েছিল?
জানা গিয়েছে কিছু খেলোয়াড় তাদের পরিবার নিয়ে আলাদা শহরে ঘুরছিলেন। সব খেলোয়াড় একই হোটেলে থাকতেন না। ম্য♛াচ শেষে খেলোয়াড়রা একসঙ্গে সময় কাটানোর বদলে সরাসরি নিজেদের পরিবারে ফিরে যাচ্ছিলেন।
এর ফলে কী সমস্যা হচ্ছিল-
দলের ভিতরে বন্ধন তৈরির সুযোগ কমে গিয়েছিল, যা যে কোনও দলের সাফল্যের⛄ জন্য অ💜ত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নতুন নিয়ম কঠোর হলেও প্রয়োজনীয়
অনেকে মনে করছেন, নতুন নিয়মটি অপ্রত্যাশিত ও কঠোর। তবে বোর্ডের তরফ থেকে বলা হয়েছে এটি আসলে দলের শৃঙ্খলা ও পারফরম্যান্স উন্🐎নতির জন্য নেওয়া হয়েছে। এটি ড্রাকোনিয়ান (অত্যাচারী) সিদ্ধান্ত নয়, বরং দলীয় সংহতির স্বার্থে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ।