꧒ অফিসের উপরে আর ভরসা করে থাকতে হবে না। মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না অন্য কারও। এবার নিজেরাই অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার করতে পারবেন এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের (ইপিএফও) সদস্যরা। সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, নিজেরাই নাম, জন্মতারিখের মতো ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন করতে পারবেন। সেজন্য অফিস বা ইপিএফওয়ের ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন হবে না। যে দুটি নয়া পরিষেবার ফলে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা ট্রান্সফার এবং ভুল সংশোধনের কাজটা আরও সহজ হয়ে যাবে।
কীভাবে ভুল সংশোধন করা যাবে?
ꦛসেই নয়া পরিষেবার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য জানিয়েছেন, অফিস বা ইপিএফওয়ের ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন হবে না। নাম, জন্মতারিখ, নাগরিকত্ব, অভিভাবকের নাম, সঙ্গীর নাম, চাকরি শুরুর দিন, চাকরি ছাড়ার দিনের মতো যে সাধারণ ভুল করে থাকেন, সেগুলি পোর্টালের মাধ্যমে সংশোধন করে নিতে পারবেন ইপিএফওয়ের সদস্যরা। যাঁদের UAN (ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর) ২০১৭ সালের ১ অক্টোবরের পরে জারি করা হয়েছে, তাঁরা সেই পরিষেবার সুবিধা পাবেন। লাগবে না কোনও আনুষাঙ্গিক নথি।
ﷺকেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০১৭ সালের ১ অক্টোবরের আগে যদি UAN জারি করা হয়, তাহলে ইপিএফওয়ের অনুমোদন ছাড়াই নিজেদের তথ্য সংশোধন করতে পারবে কোম্পানিগুলি। সেরকম ক্ষেত্রে যে যে আনুষাঙ্গিক নথির প্রয়োজন আছে, সেটাও সহজ করা হয়েছে। শুধুমাত্র যে সদস্যদের UAN-র সঙ্গে আধার কার্ডের সংযুক্তিকরণ করা হয়নি, তাঁদের সামনা-সামনি অফিসে গিয়ে সেই ভুল সংশোধন করতে হবে। যা অনুমোদনের জন্য ইপিএফওয়ের কাছে পাঠাতে হবে।
🦹নিয়ম অনুযায়ী, চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময় অফিসের তরফে UAN রেজিস্ট্রেশন করানো হয়। কিন্তু সেইসময় অনেক ক্ষেত্রে ভুল হয়ে থাকে। সেইসব ভুল সংশোধনের জন্য আগে প্রয়োজনীয় নথি-সহ আবেদন করতে হত কর্মচারীদের। যা যাচাই করে দেখত অফিস। তারপর সেটি পাঠানো হত ইপিএফওয়ের কাছে। ইপিএফওয়ের অনুমোদন মিললে তবেই ভুল সংশোধন করা হত।
মুহূর্তের মধ্যে হবে ভুল সংশোধন
⛦পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ইপিএফওয়ের কাছে বিভিন্ন অফিসের তরফে এরকম মোট আট লাখ আর্জি পাঠানো হয়েছিল। তার মধ্যে মাত্র ৪০ শতাংশ এসেছিল পাঁচদিনের মধ্যে। ১০ দিনেরও পরে এসেছিল ৪৭ শতাংশ। গড়ে ২৮ দিন নিয়েছে বিভিন্ন সংস্থা। আর নয়া পরিষেবার ফলে ওটিপি ভেরিফিকেশন সেই কাজটা মুহূর্তের মধ্যে হয়ে যাবে বলে আশাপ্রকাশ করা হয়েছে।
ই-কেওয়াইসি থাকলে তবেই মিলবে ট্রান্সফারের সুবিধা
🙈শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, যে সদস্যদের ইপিএফও অ্যাকাউন্টে পুরোপুরি ই-কেওয়াইসি (e-KYC) করা আছে, তাঁদের অফিসের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না। তাঁরা আধার-নির্ভর ওটিপির মাধ্যমে সরাসরি অনলাইন ট্রান্সফার ক্লেইম করতে পারবেন। আর সেটার ফলে পুরো প্রক্রিয়া অত্যন্ত দ্রুত হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।