প্রদীপ কুমার মৈত্র
মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের পথে বিজেপি। তবে সেই সরকার গঠনের ক্ষেত্রে যাদের ভূমিকার কথা সামনে আসছে তারা হল আরএসএস। একেবারে পরিকল্পনা করে এগিয়েছে আরএসএস।ღ তার ফলও মিলেছে 🎶হাতেনাতে।
আরএসএস কর্মীরা এবার মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে নানাভাবে ব্যস্ত ছিলেন। ꦕএখানে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট কার্যত সরকার গঠনের পথে।
প্রাক্তন প্রবীণ স্বয়ংসেবক এবং দীর্ঘদিনের আরএসএস পর্যবেক্ষক দিলীপ দেওধর উল্লেখ করেছেন যেꦚ জুনের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পরে, আরএসএস মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে আরও সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
আরএসএসের পশ্চিমাঞ্চলের প্রাক্তন প্রধান এবং বর্তমানে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অতুল লিমায়েকে এই প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল। লিমায়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সহ বিজেপি নেতাদের সাথে এবং দিল্লির বিজেপি নেতাদের সাথে বিশেষত জাতীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএল সন্তোষ এবং আরএসএস ও বিজেপির সমন্বয়কা🐷রী অরুণ কুমারের সাথে সহযোগিতা করেছিলেন।
দেওধর জোরের🧸 সঙ্গে জানিয়েছেন, যে এই নির্বাচনী চক্রে আরএসএস যে অভূতপূর্ব প্রচেষ্টা করেছিল তা ১৯৭৭ সালের জরুরি অবস্থা এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনী প্রচারের সময়ও সমাবেশকে ছাড়িয়ে গেছে যা নরেন্দ্র মোদীকে ক্ষমতায় এনেছিল। তিনি বলেন, নির্বাচনে শুধু বিজেপি নয়, আরএসএস কার্যত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরএসএসের এক প্রবীণ নেতা ব্যাখ্যা করেছেন যে আরএসএস বাড়ি বাড়ি প্রচারের পাশাপাশি অন🔯্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি), তেলি, মালি, সুতার এবং বানজারা গোষ্ঠীর ছোট সম্প্রদায়ের নেতাদের সাথে জড়িত ছিল। তারা নিশ্চিত ছিল যে একমাত্র বিজেপিই তাদের নির্বাচনী রাজনীতিতে পর্যাপ্ত প্রতিনিধিত্ব এবং কল্যাণমূꦯলক সুবিধা দিতে পারে। মারাঠা নেতা মনোজ জারাঙ্গে-পাটিলের প্রভাবশালী কৃষক সম্প্রদায়কে বিজেপির বিরুদ্ধে ঘুরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টার মধ্যে লিমায়ে এই নেতাদের সাথে অসংখ্য বৈঠক করেছেন।
যদিও বিজেপি মারাঠাদের উপেক্ষা করেনি।
লিমায়ে এবং তাঁর দল বিভিন্ন মারাঠা নেতাদের কাছেও পৌঁছেছিলেন, তাদের আশ🌳্বাস দিয়েছিলেন যে বিজেপি মারাঠাদের জন্য সংরক্ষণকে সত্যই সমর্থন করে, তাꦦদের ওবিসি হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ না করে। জারাঙ্গা-পাটিলের প্রভাব প্রশমিত করার লক্ষ্যে তারা বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে এবং কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের কাছে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।