সাম্প্রতিক একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, ভারত সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বাঁধ তৈরি করছে বাংলদেশ। এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। রিপোর্টে দাবি করা হয়, শাহের সঙ্গে বৈঠকে উল্লেখিত বাঁধের জেরে সীমান্তে কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, তা তুলে ধরেছিলেন মানিক সাহা। তবে এরপরই এই ইস্যুতে মুখ খুলল বিএসএফ। এবং তাদের বক্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর দাবির থেকে পুরোপুরি উলটো। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ไবিস্ফোরণে আহত কাজী নজরুল ই🅠সলামের নাতি, আছেন লাইফ সাপোর্টে)
আরও পড়ুন: সীমান্তে BSF-কে আটকে 'ভুল' করছে BG♐B, কার্যত মানলেন বাংলাদেশি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্🙈টা
বিএসএফ দাবি করেছে, যে 'কাঠামো' নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, সেটি বাংলাদেশের শরিপুর এবং দেবীপুরের মধ্যে একটি উঁচু কাঁচা রাস্তা। সেখান দিয়ে পথচারী, সাইকেল, রিক্সা, অটো যায়। বিএসএফের এহেন মন্তব্য আগের রিপোর্টগুলিকে 'ভুল' প্রমাণিত করেছে। এরই মাঝে অভিযোগ উঠেছে, এই বিষয়টি নিয়ে মিডিয়া যাতে বেশি প্রচার না করে তার জন্যেই এহেন বিবৃতি দিয়েছে বিএসএফ। এই আবহে ত্রিপুরায় মিডিয়া থেকে বিভিন্ন মহল থেকে বিএসএফের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতেও শুরু করেছে। এছাড়া এই ঘটনার জেরে ফের একবার প্রকাশ্যে এল বিএসএফ এবং রাজ্য সরকারের সমন্বয়ের অভাবের বিষয়টি। (আরও পড়ুন: বিকট আওয়াজে ঢুবতে শুরু করে বাংলাদেꦚশি জাহাজ, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল এপার বাংলা)
আরও পড়ুন: শীঘ্রই মোদীর কাছে আসতে পারে হোয়াইট হাউজের আমন্ত্রণ, ভারত সফরে আসতে পারেন ট্র🉐াম্প
এর আগে সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছিল, ত্রিপুরার উনকোটি জেলার সীমান্ত এলাকায় নাকি প্রায় ৬০ ফুট চওড়া বাঁধ তৈরি করা হচ্ছে। বাঁধটির উচ্চতা প্রায় ২০ ফুট। দাবি করা হয়েছিল, এই বাঁধ তৈরি হওয়ার পর ভারতের কৈলাশহরের বাসিন্দাদের জন্য তা মহাবিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে। কারণ, এই অংশে ভারতের তরফে যে বাঁধটি এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে, সেটি বহু পুরোনো। এই অবস্থায় ভারী বর্ষণ হলে, বাংলাদেশের নতুন শক্তপোক্ত বাঁধ সেই অতিরিক্ত জলের চাপ সামলে নেবে। বদলে ভারতীয় অংশের দুর্বল বাঁধের উপর চাপ বাড়বে। তাতে ভারতীয় বাঁধটি ভেঙেও যেতে পারে। ফলত, প্রবল বন্য়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে ত্রিপুরার কৈলাশহর। এই পরিস্থিতিতে নাকি বাংলাদেশের এই বাঁধ নির্মাণে আপত্তিও জানিয়েছিল ভারত। পরিস্থিতি যে অত্যন্ত উদ্বেগজনক, তা স্পষ্ট হয়ে যায় মানিক সাহা এবং অমিত শাহের বৈঠকেও। তবে এরপরে বিএসএফ নতুন করে এই ইস্যুতে বিবৃতি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দাবিকে কার্যত নস্যাৎ করে দিয়েছে। যা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। এদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ব🎐র্ষার মরশুম শুরু হওয়ার আগেই বন্য়া রুখতে প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্👍থা নেওয়া হোক। তাহলেই এলাকাবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।