🌜২০২০ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপর থেকে তিনি বিজেপিতে।তবে তার আগে তৃণমূলের একেবারে শীর্ষস্তরে ছিলেন তিনি। দলের অন্দরে তাঁর কদর কিছু কম ছিল না। তবে সেসব ছেড়ে তিনি বিজেপিতে আসেন।কেন তৃণমূল ছেড়েছিলেন তিনি? তৃণমূল কি তাঁকে তাড়িয়ে দিয়েছিল নাকি তিনি স্বেচ্ছায় তৃণমূল ছেড়ে দিয়েছিলেন?
রবিবার উত্তর ২৪ পরগনায় বারাসতে হিন্দু সম্মেলনে তার ব্যাখা দিলেন বিধানসভার বিরোধীদলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
💧শুভেন্দু জানিয়েছেন, ২০২০ সালের ডিসেম্বরের এক তারিখ পর্যন্ত আমাকে ধরে রাখার চেষ্টা করেছিল তৃণমূল। কিন্তু আমি ওই দলে থাকতে চাইনি। তার অনেকগুলো কারণ ছিল। তার মধ্য়ে অন্য়তম হল তৃণমূলের তুষ্টিকরণ, তোষণের রাজনীতি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আক্রান্ত, নিপীড়িত হিন্দুদের পাশে সবার দাঁড়ানো উচিত।
শুভেন্দু🙈 বলেন, বর্তমান শাসকদলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ছিলাম। প্রশাসনিক ও দলগতভাবে। তারা আমায় তাড়ায়নি। তারা আমায় ধরে রাখার চেষ্টা করেছে শেষদিন পর্যন্ত। ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আমি ওই দলকে পরিত্যাগ করেছি। তার মধ্যে বড় কারণ হল তুষ্টিকরণ। তোষণের রাজনীতি। বিরোধিতা করার জন্য। এপার বাংলার হিন্দুরা ভালো থাকতে পারি না। রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তবে ঠিক থাকতে পারব না।
ꩲশুভেন্দু বলেন, নন্দীগ্রামে একশো হিন্দুর মধ্যে ৬৪জনকে একজোট করতে পেরেছিলাম। তাতেই ১৯৫৬ ভোটে জিতি। আর চব্বিশের লোকসভা ভোটে নন্দীগ্রামে একশোর মধ্য়ে ৭২জন হিন্দু একজোট হয়েছিলেন। তাতে বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের লিডও বাড়ে। শুভেন্দু বলেন, সমাধান একটাই। সমস্ত হিন্দুদের এক হতেই হবে।
🦋শুভেন্দু বলেন, পশ্চিমবঙ্গ দিবস আমরা পালন করেছিলাম। সরকারকে চ্যালেঞ্জ করে। গত একমাসে আমরা একাধিক বাংলাদেশ সংক্রান্ত কর্মসূচি করেছি। …বাংলাদেশে অনেকে বলে অত্যাচার হয়েছে। আগের সরকারের আমলেও হয়েছে। তারা ক্ষততে মলম লাগাতেন। আর এখন তো ক্ষত হওয়ার সুযোগ নেই। বাংলাদেশে যারা এখনও যে হিন্দুরা রয়ে গিয়েছেন তাদের বাঁচানোর জন্য স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হচ্ছে। হিন্দু মিশনের ব্যপ্তী বাড়াতে হবে।
✱শুভেন্দু বলেন, উত্তরপ্রদেশে শান্তি বিরাজ করছে। সর্বধর্ম পালন করার সুযোগ রয়েছে। সুশাসন কীভাবে হয় সেটা দেখিয়ে দিয়েছেন যোগীজি।…৫০০ বছরের হিন্দুদের স্বপ্ন পূরণ করে অযোধ্য়ায় রামমন্দির তৈরি হয়েছে।
꧟শুভেন্দু বলেন, সনাতনকে বাঁচিয়ে রাখতে চাই। এই লড়াই শুধু হিন্দুদের লড়াই নয়। হিন্দুদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। এপার বাংলাতেও আমরা বিপন্ন।