আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল মাল্টি ইনস্টিটিউশনাল মেডিক্যাল বোর্ড। দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত ফরেন্সিক মেডিসিন, স্ত্রীরোগ, অস্থি, শল্য ও চক্ষু বিভাগের চিকিৎসকদের নিয়ে মোট ১১ জন ছিলেন সেই দলে। সেই বোর্ডের তরফ থেকেই নাকি সিবিআইয়ের কাছে একটি রিপোর্ট গিয়েছিল। যাতে দাবি করা হয়েছে, নির্যাতিতা ডাক্তারের যৌনাঙ্গে ভোঁতা বস্তু প্রবেশ করানো হয়ে থাকতে পারে। এদিকে মাল্টি ইনস্টিটিউশনাল মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্টে দাবি করা হয়, নির্যাতিতার দেহে বীর্য পাওয়া যায়নি। তবে যে সাদা ঘন চটচটে তরল পদার্থের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল নির্যাতিতার দেহ থেকে, তা কী? সেই জবাব মেলার আগেই অবশ্য শনিবার দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে সঞ্জয় রায়কে। দাবি করা হয়েছে, সেই পদার্থ কী, তা জানতে রাসায়নিক বিশ্লেষণ করার জন্যে নমুনা পাঠানো হয়েছিল সিএফএসএলে। (আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে '💦সুপ্রিম নির্দেশিকা' অমান্য করছে CBI?🤪 বিস্ফোরক নির্যাতিতার মা)
আরও পড়ুন: 'সীমান্তে এ🍷কটি বাংলাদেশি লাশ পড়লে 🅷ভারতে ফেলা হবে দু'টি', হুঁশিয়ারি এল ওপার থেকে
আরও পড়ুন: ꦓবাংলাদেশে বিস্ফোরণে আহত কাজী নজরুল ইসলামের নাতি, আছেন লাইফ সাপোর্টে
উল্লেখ্য, ময়নাতদন্তের যে রিপোর্টি প্রকাশ্যে এসেছিল, তাতে 'সিমেন' কথার উল্লেখ ছিল না। ঘটনার পর প্রথমিক ভাবে বিভিন্ন পর্যায়ে দাবি করা হয়েছিল, নির্যাতিতার শরীরে নাকি ১৫১ গ্রাম বীর্য পাওয়া গিয়েছিল। তবে পরে জানা যায়, ময়নাতদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছিল, নির্যাতিতার যৌনাঙ্গের ওজন ছিল ১৫১ গ্রাম। তা নিয়েই বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল। আর এখন জানা যাচ্ছে, নির্যাতিতার দেহে বীর্য পাওয়া যায়নি। (আরও পড়ুন: সীমান্তে 🤪BSF💮-কে আটকে 'ভুল' করছে BGB, কার্যত মানলেন বাংলাদেশি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা)
আরও পড়ুন: বাংলাജদেশ সীমান্তে বাঁধ বিতর্কে CM-এর দাবি ‘নস্যাৎ’? প্রশ্ন BSF-এর মন্তব্য ঘিরে
জানা যায়, ময়না তদন্তের রিপোর্ট এবং বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণের প্রেক্ষিতে ৪টি বৈঠক করেছিলেন মাল্টি ইনস্টিটিউশনাল মেডিক্যাল বোর্ডের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। এরপরই নিজেদের মতামত একটি রিপোর্ট আকারে সিবিআইকে দিয়েছিল তারা। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ময়না তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী নির্যাতিতার গোপনাঙ্গে বলপূর্বক ভোঁতা কোনও বস্তু কিংবা যৌনাঙ্গ ছাড়া অন্য কোনও অঙ্গ প্রবেশের ইঙ্গিত মিলেছে। সেটা হাতের আঙুলও হতে পা। কিংবা অপরাধী কন্ডোম পরে ধর্ষণ করে থাকতে পারে। এদিকে চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী দাবি করেন, নির্যাতিতার দেহ থেকে আরও একজনের ডিএনএ মিলেছিল। তবে এই মামলায় অন্য কাউকে সরাসরি খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়নি। ডিএনএ নমুনা নিয়ে তা মিলিয়েও দেখা হয়নি। এই আবহে সেই ডিএনএ নমুনাকে ‘কন্ট্যামিনেটেড’ আখ্যা দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন ডঃ গোস্বামী। (আরও পড়ুন: 'দিল্লির বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন', গলাবাজি বাℱংলাদেশে, গভীর রꦑাতে যা হল...)
আরও পড়ুন: বিকট আওয়াজে ঢুবতেꦗ শুরু করে বাংলাদেশি জাহাজ, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল এপার বাংলা
সেমিনার রুমেই কি খুন হয়েছিলেন আরজি করের চিকিৎসক নাকি অন্য কোথাও খুন করে ওখানে ফেলে রাখা হয়েছিল? তা নিয়েও এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি বলে দাবি করেছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। উল্লেখ্য, সম্প্রতি সিএফএসএল-এর এক রিপোর্টে প্রকাশ্যে আসে। সেই ১২ পাতার রিপোর্টে বলা হয়, সকলের নজর এড়িয়ে সেমিনার রুমে প্রবেশ করা ও অপরাধ করে বেরিয়ে যাওয়া অত্যন্ত ক্ষীণ। এদিকে 🐭যে ম্যাট্রেসে পাওয়া গিয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের দেহ সেখানে ধর্ষণ খুনের সময় ধস্তাধস্তির কোনও চিহ্ন মেলেনি। এনিয়ে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে সিএফএসএল রিপোর্টে।