জিনাতের পর আরও এক বাঘবন্দি খেলা! এই বাঘের এন্ট্রিতে ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গ দুই রাজ্যে পড়েছে হইচই। জানা যাচ্ছে, বাঘটি আপাতত পুরুলিয়ার বান্দোয়ান লাগোয়া এলাকায় ঘোরাফেরা করছে। আতঙ্কে পুরুলিয়ার বা♛ন্দোয়ান লাগোয়া এলাকা লাগুয়া গ্রামের বাসিন্দারা। বাঘের গলায় নেই রেডিওকলার। স্বভাবতই এমন বাঘকে বন্দি করা মুখের কথা নয়। তারপরও চেষ্টায় খামতি রাখতে চাইছে না বনদফতর। তবে বনদ💛ফতরের দেওয়া টোপেও আবার মন গলছে না দক্ষিণরায়ের!
যেহেতু বাঘের গলায় রেডিওকলার নেই, তাই তার অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই যাচ্ছে। তবে বাঘের পায়ের ছাপ বলে দিচ্ছে তার দাপুটে অবস্থান! কখনও বান্দোয়ানের কেশরা, রাইকা, যমুনাগড়া, লাউপালে পাওয়া যাচ্ছে বাঘের পায়ের ছাপ, আবার কখনও মানবাজার দু নম্বর ব্লকের নেকড়ে, বডগোড়ায় ছাপ দেখা যাচᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ্ছে। তবে পায়ের ছাপ দেখা গেলেও, বাঘ অধরা। প্রতিদিনই পর পর এলাকা পার করে ডেরা পাল্টাচ্ছে এই বাঘ। বহু রিপোর্টের দাবি, সদ্য কিছুদিন আগেই যে বাঘিনী এসেছিল পুরুলিয়ায়, সেই জিনাতকে খুঁজতেই এই বাঘের আগমন। জিনাতের পুরুষসঙ্গী এই বাঘকে ধরতে সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভের দল যারপর নাই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রথমে তাকে ছাগলের টোপ দেওয়া হয়েছিল, তাতে পা দেয়নি বাঘ। পরের দিনই খাঁচা পেতে শূকরের মাংস রাখা হয়। স্থানীয় হাট থেকে সেই শূকরের মাংস কিনে রাখা হয়েছিল। তবে সেটিতেও আগ্রহ দেখায়নি দক্ষিণরায়।
এর আগে, জিনাত বান্দোয়ানে ছিল ৫ দিন। পরে পুরুলিয়♔া থেকে সে চলে যায় বাঁকুড়ায়। সেখানেই তাকে ২ দিনের মাথায় ঘুম পাড়ানি গুলিতে কাবু করা হয়। তবে জিনাতের পুরুষসঙ্গীকে কীভাবে ধরা যাবে, তা নিয়ে কৌশল তৈরিতে ব্🍒যস্ত বনদফতর। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালেও পায়ের ছাপ খুঁজেছে বনদফতর। আপাতত, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামের বনদফতরের টিম, সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভের টিম, ঝাড়খণ্ডের বনদফতরের টিম একযোগে খুঁজে চলেছে বাঘকে। তবে আপাতত বাঘবন্দি খেলা অব্যাহত। জিনাতের পর জিনাতের পুুরুষসঙ্গী কতদিনে কোথায় ধরা দেয়, তার দিকে তাকিয়ে দুই রাজ্য।