বাজেট অধিবেশনে প্রত্যক্ষ কর সংক্রান্ত একটি নয়া বিল উত্থাপন করতে চলেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এমনই দাবি করা হল টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে। এই বিলের মূল লক্ষ্য হবে আইনের বিধানগুলির সরলীকরণ। অপ্রয়োজনীয় ভাষার জটিলতাকে দূর করে সেই আইনের বিধানগুলি যাতে সাধারণ মানুষের জন্যে আরও বোধগম্য করা যায়, তারই চেষ্টা করা হবে এই নয়া বিলে। (আরও পড়ুন: 'ইসলামপন্থীরা যখন পশ্চিমবঙ্গ দখলের স্বপ্ন দেখছে, তখন রেটিং꧟ কমেছে বাংলাদেﷺশের')
আরও পড়ুন: 'ভিতরের লোক জড়িত না থাকলে...', আরজ♔ি কর কাণ্ডে সামনে এক মহিলা ডাক্তারের প্রসঙ্গ
রিপোর্ট অনুযায়ী, জটিল কর আইনের জন্য সমালোচনার সম্মুখীন হওয়ায় সরকার এই নয়া বিল পেশ করার কথা ভেবেছে। এর আগে সরকারি সূত্রের তরফ থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল যে আধিকারিকরা এই বিলের খসড়া তৈরি করা হলে তা প্রকাশ্যে আনা হবে। জনসাধারণ সেই খসড়া দেখে নিয়ে নিজেদের মত জানাতে পারে, সেই কারণেই সেই ভাবনা ছিল। তবে এখন হয়ত সরাসরি বিলটি পেশ করা হবে সংসদে। এরপরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন মহলের মতামত বা পরামর্শের ভিত্তিতে সেটিতে বদল আনা হতে পারে। (আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ড: 'অভিজিৎ মণ্ডলের থেকে বড় দোষী বিনꦚীত গোয়েল')
আরও পড়ুন: 'অল্পের জন্যে বেঁচেছি', হত্যার ছক নিয়ে বিস্ফোরক হাসিনা, বা🌟র্তা 'আরও কিছু করার'
এর আগে আয়কর আইন, ১৯৬১-কে ধীরে ধীরে সরিয়ে দিতে নয়া আয়কর কাঠামো আনে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে সেই নয়া আয়কর কাঠামো ততটাও জনপ্রিয় হয়নি। নয়া আয়কর কাঠামোয় কোনও কর ছাড়ের বিধান ছিল না। এই আবহে করদাতাদের মন এখনও পড়ে পুরনো কাঠামোতে। এদিকে ২০১৭ সালে সিবিডিটি সদস্যদের নিয়ে একটি প্যানেল গঠন করে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০১৯ সালে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কাছে সেই প্যানেল তাঁদের রিপোর্ট জমা করে। তবে সেই সেই রিপোর্ট আর প্রকাশ্যে আনা হয়নি। (আরও পড়ুন: 'সংখ্যাগরিষ্ঠদের ইচ্ছাতেই হিন্দুস্তান ౠচলবে' বলে ভুল করিন✤ি, দাবি HC বিচারপতির)
আরও পড়ুন: চিনা JF-17 পেতে পাকিস্তানের কꦿাছে হাত পাতল বাংলাদেশ, তুলনায় কতটা এগিয়ে রাফাল?
এদিকে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, গত ৬৮ সপ্তাহ ধরে অর্থ মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের আধিকারিকরা নয়া বিলের খসড়া তৈরির জন্যে কাজ করেছেন। তবে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সরকার নয়া বিলে নতুন কোনও বড় ধরনের পরিবর্তন আপাতত থাকবে না। এদিকে সম্প্রতি রয়টার্সের রিপোর্টে দাবি করা হয়, ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করা করদাতাদের ছাড় দেওয়া হতে পারে বাজেটে। রয়টার্সকে দুই সরকারি কর্মী বলেন, '১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত যাদের আয় করা ব্যক্তিদের আয়করে ছাড় দেওয়া হতে পারে।' এর ফলে বিশেষত শহরের মধ্যবিত্ত চাকরিজীবীরা উপকৃত হবেন। তবে ২০২০ সালে চালু হওয়া নতুন কর কাঠামোর আওতাভুক্ত করদাতাদেরই এই ছাড় দেওয়া হতে পারে। (আরও পড়ুন: 'রামকৃষ্ণ মিꦍশনেꦯও জঙ্গি থাকতে পারে', বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক)
আরও পড়ুন: প্রথম পে কমিশনের ন্যূনতম বেতন ছিল ৫৫ টাকা!𓆏 নয়া পে কমিশনে কত বাড়তে পারে DA-বেতন?
উল্লেখ্য, বর্তমান কর কাঠামোয় রিবেটের সুবিধা ধরে শর্তসাপেক্ষে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত। যদি কোনও ব্যক্তির বার্ষিক আয় ১৫ লাখ টাকা হয়, তাহলে পুরনো আয়কর কাঠামোয় স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন (৫০ হাজার), হাইজ প্রপার্টি লস (২ লাখ), ৮০সি (দেড় লাখ), ৮০ডি (৫০ হাজার) বাদ দিয়ে তাঁর করযোগ্য আয় হবে ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তাই তাঁকে ৫১০০ টাকা স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সেস মোট ১ লাখ ৩২ হাজার ৬০০ টাকা আয়কর দিতে ꦛহবে। আর নতুন আয়কর কাঠামোয় ১৫ লাখ আয় থেকে বাদ যাবে শুধুমাত্র ৭৫ হাজার টাকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন। এই আব🧔হে তাঁর করযোগ্য আয় হবে ১৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা। তাই তাঁকে ৫ হাজার টাকা সেস সহ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা কর দিতে হবে।
এদিকে বর্তমান কর কাঠামোয় যদি কোনও ব্যক্তির বার্ষিক আয় ২০ 💫লাখ টাকা হয়, তাহলে পুরনো আয়কর কাঠামোয় স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন (৫০ হাজার), হাইজ প্রপার্টি লস (২ লাখ), ৮০সি (দেড় লাখ), ৮০ডি (৫০ হাজার) বাদ দিয়ে তাঁর করযোগ্য আয় হবে ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তাই তাঁকে ১১,১০০ টাকা স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সেস মোট ২ লাখ ৮৮ হাজার ৬০০ টাকা আয়কর দিতে হবে। আর নতুন আয়কর কাঠামোয় ২০ লাখ আয় থেকে বাদ যাবে শুধুমাত্র ৭৫ হাজার টাকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন। এই আবহে তাঁর করযোগ্য আয় হবে ১৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা। তাই তাঁকে ১০,৭০০ টাকা সেস সহ ২ লাখ ৭৮ হাজার ২০০ টাকা কর দিতে হবে।
অপরদিকে বর্তমান কর কাঠামোয় যদি কোনও ব্যক্তির বার্ষিক আয় ৩০ লাখ টাকা হয়, তাহলে পুরনো আয়কর কাঠামোয় স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন (৫০ হাজার), হাইজ প্রপার্টি লস (২ লাখ), ৮০সি (দেড় লাখ), ৮০ডি (৫০ হাজার) বাদ দিয়ে তাঁর করযোগ্য আয় হবে ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তাই তাঁকে ২৩,১০০ টাকা স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সেস মোট ৬ লাখ ৬০০ টাকা আয়কর দিতে হবে। আর নতুন আয়কর কাঠামোয় ৩০ লাখ আয় থেকে বাদ যাবে শুধুমাত্র ৭৫ হাজার টাকার স্ট্যান্ডার😼্ড ডিডাকশন। এই আবহে তাঁর করযোগ্য আয় হবে ২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা। তাই তাঁকে ২২,৭০০ টাকা সেস সহ ৫ লাখ ৯০ হাজার ২০০ টাকা কর দিতে হবে।