মাঝ-আকাশেই ক্রমশ নেতিয়ে পড়ছিলেন প্রবীণ যাত্রী। রক্ষা পেলেন এক বিমানকর্মীর ঐকান্তিক প্রয়াস, প্রচেষ্টা ও সেবায়। এভাবে একজন বিমানকর্মীকে নিজের দায়িত্ব পালন করতে দেখে অভিভূত দিল্লির এক শিল্পোদ্যোগী। সেই বিমানকর্মীকে নিজের লিঙ্কডইন পোস্টে প্রশংসায় ভরালেন তিনি। তাঁকে অবিহিত করল﷽েন 'সুপারওম্যান' বলে!
সঞ্চিত মহাজন নামে ওই লিঙ্কডইন ইউজার তাঁর দীর্ঘ পোস্টে গত ১২ জানুয়ারির একটি ঘটনা তুলে ജধরেছেন। সেদিন ইন্ডিগো-র একটি বিমানে পুণে থেকে দিল্লি যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময়েই এই ঘটনার সাক্ষী হন সঞ্চিত। তাঁর মতে, এই ধরনের ঘটনা সবসময় সেভাবে প্রচার পায় না। কিন্তু, সেটা পাওয়া উচিত।
সঞ্চিতের পোস্ট থেকেই জানা যায়, ঘটনার দিন বিমানে সওয়ার ছিলেন এক প্রবীণ যাত্রী। যাঁর বয়স ৭০ বছরের বেশিই হবে। মাঝ-আ🌜কাশে তিনি হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন। ধীরে ধীরে জ্ঞান হারাতে শুরু করেন তিনি। নেতিয়ে পড়েন নিজের আসনে।
ওই বিমানে চিকিৎসা পরিষেবা বলতে কিছুই ছিল না। বিমানে কোনও চিকিৎসকও ছিলেন না। ফলত, উপস্থিত সকলেই অস্থির ও আশঙ্কিত হয়ে পড়েন। কিন্তু, বিমানকর্মীরা হাল ছাডꦍ়েননি। তাঁরা ওই যাত্রীকে সহযোগিতা করতে🎃 এগিয়ে আসেন।
সঞ্চিত জানান, এই বিমানকর্মীদের মধ্যে একজনের ভূমিকা ছিল সবথেকে লক্ষ্যণীয়। কিন্তু, তিনি সেই তরুণীর নাম জানেন না। তিনি অত্যন্ত শান্তভাবে গোটা পরিস্থিতি সামাল দেন। তাঁর এই কর্মদক্ষতা এবং ন♏িজের কাজের প্রতি দায়িত্ববোধ ও মমত্ব সঞ্চিতকে মুগ্ধ করেছে। সেই কারণেই তিনি তাঁকে 'সুপারওম্য়ান' বলে সম্বোধন করেছেন।
সঞ্চিত জানান, ওই বিমানকর্মী প্রথমেই প্রায় অচেতন হয়ে পড়া ওই প্রবীণ যাত্রীর ঘাড় শক্ত করে ধরেন। তারপর তাঁকে অক্সিজেন দেন। তাতে তিনি কিছুটা স্থিতিশীল হন। এবং এরপর টানা প্রায় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ধরে তᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚাঁর সেবা করে যান।
সঞ্চিত জানান, বিমানকর্মী🍒র প্রয়াস ও প্রচেষ্টা কাজে আসে। ধীরে ধীরে ওই প্রবীণ যাত্রী সুস্থ হয়ে ওঠেন। এই ঘটনা যে ওই বিমানকর্মীকে মানসিকভাবেও অত্যন্ত প্রভাবিত করেছিল, সেটাও লক্ষ করেছেন সঞ্চিত।
তিনি ওই বিমানকর্মী সম্পর্কে তাঁর সোশাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছ🌸েন, 'আমি ওঁর চোখে জল দেখেছিলাম। তিনি হয়তো এই ঘটনায় অভিভূত হয়ে পড়েছিলেন। হয়তো ওই প্রবীণ যাত্রীকে🎶 ধীরে ধীরে সুস্থ হতে দেখে তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন। অধিকাংশ যাত্রীই ওঁকে এবং বাকি বিমানকর্মীদের তাঁদের এই ঐকান্তিক প্রচেষ্টার জন্য যথাযথ কৃতজ্ঞতা জানাতে পারেননি।'
সঞ্চিত জানিয়েছেন, বিমান থেকে নামার সময় তিনি ওই বিমানকর্মীকে তাঁর এই অসাধারণ সাফল্যের জন্য সাধুবাদ ও অভিনন্দন জানাতে ভোলেননি। একইসঙ্গে, বিমানকর💮্মীদের এত উচ্চমানের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষেরও প্রসংশা করেছেন দিল্লির ওই উদ্যোক্তা। ইন্ডিগোর তরফে এর জন্য তাঁকে কৃতজ্ঞতাও পালটা জানানো হয়েছে।