এবার থেকে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের ক্যাশলেস চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে কেন্দ্রীয় সরকার। এই মর্মে একটি প্রকল্প চলুর ঘোষণা করলেন নীতিন গডকড়ি। জানা গিয়েছে, নয়া এই প্রকল্পে আহত ব্যক্তির চিকিৎসার ১.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচের দায়ভার কাঁধে নেবে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, দুর্ঘটনা ঘটার পরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি সেই বিষয়ে পুলিশকে জানানো হয়, তাহলে আহত ব্যক্তির চিকিৎসার ক্ষেত্রে ১.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দায়ভার বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার। এই চিকিৎসা পরিষেবা ক্যাশলেস ভাবেই পাবেন আহত ব্যক্তি। (আরও পড়ুন: 🐟এবার রান্না হবে হাইড্রোজেনে! পাইপে বাড়ি বাড়ি গ্যাস পাঠানোর পরিকল্পনা বাংলায়)
আরও পড়ুন: 𒉰'ওরা চায় ভারত আক্রমণ করুক', বাংলাদেশে ভোট না করাতে ষড়যন্ত্র মহম্মদ ইউনুসের?
আরও পড়ুন: 🔯দেশে চালু হয়ে গেল 'ভারতপোল', কেমন ভাবে তদন্তে সাহায্য করবে এটি?
এদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, এবার থেকে হিট অ্যান্ড রান কেসে মৃত ব্যক্তির পরিবারতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। গডকড়ি জানান, কেন্দ্রীয় সরকার সড়ক পরিবহণে সুরক্ষার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেবে। ২০২৪ সালে দেশে ১ লাখ ৮০ হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি জানান, এর মধ্যে থেকে ৩০ হাজার ব্যক্তির মৃত্যু ঘটেছে বাইক চালানোর সময় হেলমেন না পরার কারণে। এরই সঙ্গে গডকড়ি বলেন, 'এই পরিসংখ্যানের সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হল, সড়ক দুর্ঘটনায় মোট মৃতের মধ্যে ৬৬ শতাংশের বয়স ১৮ থেকে ৩৪ বছরের মধ্যে। এছাড়াও দেশে ১০ হাজার শিশুর মৃত্যু ঘটেছে সড়ক দুর্ঘটনায়। স্কুল এবং কলেজগুলির গেটে ঠিক মতো ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা না থাকায় এই সমস্যা হয়েছে। এদিকে এই ক্ষেত্রে অটো এবং বাসের জন্যে নির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে।' (আরও পড়ুন: ♒মার্কিন-ভারত বন্ধুত্বে চিড়… আদানি মামলায় 'জবাবদিহি' চাওয়া হল বিচার বিভাগের কাছে)
আরও পড়ুন: ♊হিন্দুদের ওপর হামলা, বাংলাদেশ নিয়ে সরব ভারতীয় বংশোদ্ভূত US কংগ্রেস সদস্য, বললেন…
আরও পড়ুন: 🌜OpenAI CEO স্যাম অল্টম্যানের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ বোনের, জবাব দিল পরিবার
💫দেশের শহরগুলির মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে রক্তপাত হয়েছে দিল্লি। গডকড়ি কথায়, এই শহরে ১,৪৫৭ জনেরও বেশি মৃত্যু হয়েছে ২০২৪ সালে। এর পরেই তালিকায় আছে বেঙ্গালুরু। ভারতের এই টেক শহরে ৯১৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন, এবং জয়পুরে ৮৫০ জন মারা গিয়েছেন সড়ক দুর্ঘটনায়। গডকড়ি হতাশার সঙ্গে জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় এত লোক মারা গেলেও, অনেকেই জনহিতের জন্য প্রণয়ন করা আইনকে ভয় করেন না। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানান যে রাস্তায় ট্রাক পার্কিং দুর্ঘটনার একটি প্রধান কারণ এবং অনেক ট্রাক লেনের শৃঙ্খলা অনুসরণ করে না।