একদিকে রফতানি হ্রাস, অন্যদিকে টাকার দরের অবনমন। এই দুয়ের চাপে আরও গভীর হবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সঙ্কট। এমনই পূর্বাভাস জ💜ারি কর🎃েছে বিশ্বব্যাঙ্ক। যার জেরে প্রতিবেশী রাষ্ট্রটির আর্থিক বৃদ্ধির হার ৪.১ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের দ্রুত একাধিক পদক্ষেপ করা উচিত বলেও পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্বব্যঙ্কের বিশেষজ্ঞরা।
দীর্ঘদিন ধরেই আর্থিক সংকটের সঙ্গে লড়ছে বাংলাদেশ। তবে সম্প্রতি সেদেশের অস্থিরতা সেই সঙ্কট আরও গভীর করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্বব্যাঙ্কের তরফে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে,রাজস্ব আদায় ব্যবস্থায় ব্যাপক সংস্কার করে আয় বাড়ানোর পদক্ষেপকরা, রফতানি পণ্যে বৈচিত্র্য এনে আয় বাড়ানো, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি সঠিক খাতে কার্যকর করা, পরিকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির পদক্ষেপ নেওয়া। কাজগুলো দ্রুত সম্পন্ন করলে অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে। বিশ্বব্যাঙ্কেরে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইন্দরমিত গিল জানিয়েছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন সংকটজনক অবস্থায় আছে। সরকারের নীতিনির্ধারকদের উচিত দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। যাতে অর্থনীতির গতিশীলতা দ্রুত পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে ইতিমধ্যে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং রাজস্ব বাড়🅷ানোর জন꧂্য বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে। তবে দ্রুত সংকট মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ করা প্রয়োজন।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের মধ্যে প্রধান হচ্ছে তৈরি পোশাক শিল্প। কি🍬ন্তু ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে অর্থনৈতিক মন্দার কারণে চাহিদা কমে গিয়েছে। এ কারণে ওইসব দেশে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি কমে যাচ্ছে। ফলে সেসব দেশ থেকে আয়ও হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গত অক্টোবর মাসে এক রিপোর্টে IMF এর তরফে জানানো হয়েছিল, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার কমে ৪ শতাংশ হতে পারে। বিশ্বব্যাঙ্কও🎃 সেই পূর্বাভাসে স্বীকৃতি দিয়ে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৪.১ শতাংশ হতে পারে বলে জানিয়েছে।
বলে রাখ🎉ি, বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সঙ্কটের পরোক্ষ প্রভাব পড়ে ভারতেও। ভারতের বহু সংস্থা বাংলাদেশে বাণিজ্য করে। এছাড়া বাংলাদেশে আর্꧅থিক সঙ্কট বাড়লে কাজে খোঁজে ভারতে অনুপ্রবেশের প্রবণতা বাড়ে।