অত্যন্ত গরিব, খুবই কষ্ট করেই সংসার চলত পুষ্পাঞ্জলি লোহার। আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ﷺচা বলয়ের গাঙ্গুটিয়ার বাসিন্দা তিনি। অনেক ছোটতেই বাবাকে হারিয়েছেন, চা বাগানে কাজ করে কষ্ট করেই তাঁকে ও তাঁর বোনকে বড় করেছেন পুষ্পাঞ্জলির মা। স্যাঁতস্যাতে শ্রমিক আবাসেই দিন কাটত তাঁদের। হঠাৎই বদলে গেল আলিপুরদুয়ারের এই পুষ্পাঞ্জলির জীবন। কিন্তু কীভাবে?
অনেকেই বলেন, 'যাঁর কেউ নেই, তাঁর ঈশ্বর আছেন।' সেই ঈশ্বরই হয়ত এবার সহায় হয়েছেন পুঞ্জাঞ্জলির জীবনে। আবার ‘কষ্ট করলে লক্ষ্য পূরণ হয়’💯 একথাও সত্যি এই আদাবাসী তরুণীর জীবনে। আর তাই হয়ত এবার অমিতাভ বচ্চনের KBC-16এর হাত ধরে এবার জীবনটা অন্য খাতেই বইবে আলিপুরদুয়ারের এই গরিব মেয়েটির।
গ🧜রিব হলেও পড়াশোনাতে মন্দ নন পুষ্পাঞ্জলি। শিলিগুড়ির সূর্য সেন কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তবে টাকার অভাবে পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি। তবে কলেজে পড়তে পড়তেই বিভিন্ন জেনারেল নলেজের বই কেনা শুরু করেছিলেন তিনি। আর নিজের এই সাধারণ জ্ঞানের প্রতি ভরসা ছিল তাঁর। তাতে ভর করেই গত জুলাইতে কেবিসি-তে যোগ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন পুষ্পাঞ্জলি। তবে বটম টিপতে একটু দেরি হওয়ার কারণে সুযোগ ফসকে যায়। তবে তিনি💯 হাল ছাড়েননি। খোদ Big B-কে কথা দিয়েছিলেন তিনি ফিরে আসবেন।
আর এবার চলতি বছরে শুরু ফের মুম্বই থেকে ডাক পান এরাজ্যের এই মেয়েটি। আর এবার আর কোনও সুযোগ হাতছাড়া করেননি। অমিতাভের ছুঁড়ে দেওয়া প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের এই মেয়েটি। আর তাই সাফল্য এসেছে তাঁর ঝুলিতে। জিতে নিয়েছেন ১৫ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। তবে কষ্ট করে বড় হওয়া। তাই যেন এখনও বাস্তবটাকে ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না পুষ্পাঞ্জলির। তাই বলেন, ‘প্রথমে নিজের গায়ে চিমটি কেটে দেখ💛ি। বিশ্বাসই হচ্ছিল না স্বপ্ন নাকি সত্য়ি। বুঝলাম নাহ, বাস্তবের মাটিতেই দাঁড়িয়ে আছি।’ তাঁর কথায়, ‘আমাদের মতো গরিবদের কাছে স্বপ্ন দেখাটাও বিলাসি🍎তা। তবে স্বপ্ন পূরণ করবই শপথ নিয়েছিলাম।’
তবে এত টা𒐪কা দিয়ে♐ এখন কী করতে চান পুষ্পাঞ্জলি লোহার?
তিনি জানাচ্ছে, টাকা দিয়ে প্রথ🥂মেই তাঁর মায়ের কষ্ট মেটাবেন। একটা বাড়ি বানাবেন তিনি। আর বোনকে হোটেল ম্যানেজমেন্ট পড়াবেন। তিনি পড়তে পারেননি। তবে বোনের স্বপ্ন পূর꧙ণ করতে চান।