ღ অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাত্র ২৩ রানে অল-আউট হয়ে গেল মালয়েশিয়া। আর তার ফলে গ্রুপ ‘এ’-র ম্যাচে ১৩৯ রানে জিতে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা। রবিবার কুয়ালামপুরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেটে ১৬২ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। জবাবে ১৪.১ ওভার ব্যাট করলেও ২৩ রানের বেশি তুলতে পারেনি আয়োজক দেশ মালয়েশিয়া। যে মালয়েশিয়া এবং শ্রীলঙ্কার সঙ্গে অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা বিশ্বকাপের গ্রুপ ‘এ’-তে আছে ভারতও। প্রথমে বোলিং করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাত্র ৪৪ রানে গুটিয়ে দেয় টিম ইন্ডিয়া। যে রানটা এক উইকেট হারিয়ে ৪.২ ওভারেই তুলে নেয় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
ছোটদের বিশ্বকাপের নিয়ম
๊এমনিতে অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নিয়ম অনুযায়ী, মোট চারটি গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি গ্রুপে চারটি দল আছে। আর প্রতিটি গ্রুপ থেকে তিনটি দল সুপার সিক্সে উঠবে। গ্রুপের খেলায় প্রতিটি দলের যে পয়েন্ট, নেট রানরেট থাকবে, তা সুপার সিক্স পর্যায়েও যোগ করা হবে। ফলে গ্রুপের প্রতিটি খেলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
১৩ বলে ৩০ রান সঞ্জনার!
ꦓআর সেই পরিস্থিতিতে অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা বিশ্বকাপের শুরুটা দুর্দান্ত করেছে শ্রীলঙ্কা। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে তিন ওভারেই ৪০ রান তুলে ফেলেন দ্বীপরাষ্ট্রের মেয়েরা। ১৩ বলে ৩০ রান করেন সঞ্জনা কাবিন্দি। সেইসময় শ্রীলঙ্কার স্কোর ছিল এক উইকেটে ৪০ রান। পরের ওভারেই আরও একটি উইকেট তুলে নেয় মালয়েশিয়া। রানের গতিতেও রাশ টানে।
𝐆কিন্তু সঞ্জনার বিধ্বংসী ইনিংসের কারণে রানরেট নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে কোনও চিন্তাই করতে হয়নি। শেষপর্যন্ত ২০ ওভারে ১৬২ রান তোলে লঙ্কাবাহিনী। তিনে নেমে সর্বোচ্চ ৫২ বলে ৫৫ রান করেন দাহামি সানেথমা। ২১ বলে ২৮ রান করেন হিরুনি হানসিকা। সাত বলে অপরাজিত ১৩ রান করেন শাশিনি গিমহানি। অন্যদিকে মালয়েশিয়ার হয়ে দুটি উইকেট নেন সিটি নাজওয়া। চার বোলার (সুয়াবিকা মণিভান্নান, নুর দানিয়া, মারসিয়া কিসটিনা বিন্টি আবদুল্লা এবং নুর ইসমা দানিয়া বিন্টি মহম্মদ ড্যানিয়েল) একটি করে উইকেট নেন।
মালয়েশিয়ার ৬ ব্যাটার শূন্য রানে আউট হন!
🦩যদিও সেই রানটা মালয়েশিয়ার জন্য অনেক বেশি ছিল। শুরু থেকেই শ্রীলঙ্কার চক্রব্যূহে আটকে যায়। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে। রানও তুলতে পারেননি। শেষপর্যন্ত ২৩ রানে অল-আউট হয়ে যায়। সর্বোচ্চ সাত রান করেন ওপেনার নুর আলিয়া বিন্টি মহম্মদ হায়রুন। শূন্য রানেই আউট হয়ে যান ছয়জন। শ্রীলঙ্কার হয়ে তিনটি উইকেট নেন চামোদি প্রোবাদা (চার ওভারে পাঁচ রান দিয়ে তিনটি উইকেট, দুটি মেডেন)। দুটি করে উইকেট নেন মানুদি নয়নাক্কারা এবং লিমনাসা থিলাকারত্ন।