🍌 প্রথম একাদশে না থাকায় ব্যাট করার সুযোগ হয়নি লিউক উডের। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে মাঠে নেমে ২ ওভার বল করেন তিনি। ব্রিটিশ তারকা ২১ রান খরচ করেও কোনও উইকেট পাননি। টি-২০ ক্রিকেটে ওভার প্রতি ১০.৫০ রান খরচ করা কোনওভাবেই ভালো পারফর্ম্যান্স হিসেবে বিবেচিত হয় না। তা সত্ত্বেও ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতে নেন লিউক। এমন অবাক করা কাণ্ড ঘটে ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-২০'র নবম ম্যাচে।
🏅যদিও লিউড উডের হাতে উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হয়নি প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার। বরং তিনি নিজের পারফর্ম্যান্স দিয়ে অর্জন করে নেন তা। আসলে ম্যাচে লিউক উডের ফিল্ডিং ছিল অনবদ্য। অর্থাৎ, শুধুমাত্র ফিল্ডিংয়ের জোরেই ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হন লিউক উড।
༒আসলে ম্যাচে তিনটি দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন লিউক এবং একটি রিলে ক্যাচে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন, যার ফলেই খেলার মোড় ঘুরে যায়। বিশেষ করে রিলে ক্যাচটি ছিল অবিশ্বাস্য, যা টুর্নামেন্টের সেরা ক্যাচ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে শেষমেশ। সেই কারণেই ম্যাচের সেরার স্বীকৃতি জোটে উডের।
🐭শনিবার দুবাইয়ে আইএল টি-২০'র নবম লিগ ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে আবু ধাবি নাইট রাইডার্স ও ডেজার্ট ভাইপার্স। টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ডেজার্ট ভাইপার্স। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৯৩ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে।
▨ভাইপার্স আজম খানের পরিবর্তে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে দ্বিতীয় ইনিংসে মাঠে নামায় লিউক উডকে। ১টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৯ বলে ২১ রান করা আজম খান দ্বিতীয় ইনিংসে ফিল্ডিং করতে নামেননি।
♋দ্বিতীয় ইনিংসের ৭.৬ ওভারে ড্যান লরেন্সের বলে বাউন্ডারি লাইনে কাইল মায়ের্সের দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন লিউক উড। লরেন্সের বলে স্লগ সুইপ শট খেলেন মায়ের্স। বল উড়ে যায় বাউন্ডারি লাইনে। লিউক বুঝে যান যে, ক্যাচ ধরে শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখা মুশকিল হবে। তাই তিনি বল পুনরায় হাওয়ায় ভাসিয়ে বাউন্ডারি লাইনের বাইরে বেরিয়ে যান। পরে ফের বাউন্ডারির ভিতরে ঢুকে ক্যাচ ধরে নেন উড।
ꦫইনিংসের ১০.৩ ওভারে ন্যাথন সোওটারের বলে চরিথ আসালঙ্কার অনবদ্য ক্যাচ ধরেন লিউক উড। ১১.৩ ওভারে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে সুনীল নারিনের দুরন্ত ক্যাচ ধরেন লিউক। তবে এই তিনটি ক্যাচ ধরার থেকেও সতীর্থ পাইনের ধরা একটি ক্যাচে নিজের ভূমিকা রেখে ক্রিকেটপ্রেমীদের মুগ্ধ করেন উড।
🦂ইনিংসের ১২.৪ ওভারে সোওটারের বলে লেগ সাইডে জোরালো শট নেন আন্দ্রে রাসেল। বল বাউন্ডারির বাইরে যাচ্ছিল। নিশ্চিত ছয় লেখা ছিল রাসেলের সেই শটে। তবে লিউক উড হার মানার পাত্র নন। তিনি লাফিয়ে বল ধরে নেন এবং শূন্যে থাকা অবস্থাতেই বল ছুঁড়ে দেন সতীর্থ ফিল্ডার পাইনের দিকে। পাইন সহজেই ক্যাচ ধরে নেন। স্কোরবোর্ডে লেখা থাকবে রাসেল পাইনের হাতে ধরে পড়েছেন। আসলে দ্রে রাসকে সাজঘরে ফিরতে হয় লিউকের অসাধারণ ফিল্ডিংয়ের জন্যই।