🌺 পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল সাজ্জাক। বাধ্য হয়ে পালটা গুলি চালায় পুলিশ। গোয়ালপোখর এনকাউন্টার নিয়ে এমনই দাবি করল পুলিশ। শনিবার ভোরে উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরে ভারত - বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে পুলিশের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় দুষ্কৃতী সাজ্জাক আলমের। গত বুধবার আদালত থেকে জেলে ফেরার সময় ২ পুলিশকর্মীকে গুলি করে পালিয়েছিল সে।
ꩵশনিবার দুপুরে রাজ্যের অতিরিক্ত নির্দেশক (আইনশৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম বলেন, ১৫ জানুয়ারি সাজ্জাক আলম নামে খুনের মামলায় বিচারাধীন অপরাধী আমাদের এক কন্সটেবল ও এক অতিরিক্ত সাব ইন্সপেক্টরকে গুলি করে পালায়। তার পরই সিনিয়র আধিকারিকদের নেতৃত্বে একাধিক দল গঠন করা হয়। STFকেও ময়দানে নামানো হয়। তার পর থেকেই আমরা এই অভিযুক্ত ও আর সহযোগীদের যত দ্রুত সম্ভব আইনের আওতায় আনতে তৎপর হয়ে উঠেছিলাম। সেদিন থেকেই আমরা প্রতিবেশী জেলা ও রাজ্যের ওপর নজরদারি শুরু করি। আন্তর্জাতিক সীমান্তেও নজরদারি কড়া করা হয়। গতকাল আমাদের কাছে খবর আসে যে এরা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালানোর চেষ্টা করবে। এর পর যতগুলো জায়গা দিয়ে সীমান্ত পারাপার করা যায় প্রত্যেকটির জন্য আলাদা দল গঠন করে নজরদারি শুরু হয়। উত্তরবঙ্গজুড়ে ঘন কুয়াশা থাকা সত্বেও শনিবার সকাল ৭টা নাগাদ ডিআইজি রায়গঞ্জ সুধীর নীলকণ্ঠমের নেতৃত্বাধীন একটি দল অভিযুক্তকে দেখতে পায়। তাকে দাঁড়াতে বললে সে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে ও পালানোর চেষ্টা করে। তখন পুলিশ পালটা গুলি চালায়। তাতে সে আহত হয়। সেই অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কিছুক্ষণ পর ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
💎তিনি বলেন, ‘সাজ্জাককে খতম করতে যে দল সাফল্য পেয়েছে তাতে ৮ জন পুলিশ আধিকারিক ছিলেন। ৩ - ৪ রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে। সাজ্জাকের কাছ থেকে আমরা আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছি। সেই আগ্নেয়াস্ত্র দিয়েই সে বুধবার গুলি চালিয়েছিল কি না তা আমরা তদন্ত করে দেখছি।’
🤡ওদিকে যে হাসপাতালে সাজ্জাককে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেই লোধান গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন, সকাল ৮টা নাগাদ সাজ্জাককে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার দেহে ৩টি গুলির ক্ষত রয়েছে। একটি পায়ে, একটি বুকে ও একটি কাঁধে। চিকিৎসা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। সকাল ৮টা ১০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
ꦏজাভেদ শামিম বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ একটি পেশাদার বাহিনী। সমাজকে এই ধরণের দুষ্কৃতীমুক্ত রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর।’