ইডেনে ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে ইংল্যান্ড ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি। প্রথম তিন ওভারেই টপ অর্ডারের দুই ব্যাটারের উইকেট হারিয়ে বসে ইংল্যান্𒊎ড। তবে জোস বাটলার ও হ্যারি ব্রু🦋ক প্রাথমিক বিপর্যয় সামলে যেভাবে ভিত গড়ছিলেন, তাতে মনে হচ্ছিল বুঝি ব্রিটিশরা অন্তত পক্ষে দেড়শো রানের গণ্ডি টপকে চ্যালেঞ্জিং ইনিংস গড়ে তুলবে।
বাটলার একপ্রান্ত আঁকড়ে হাফ-সেঞ্চুরি করলেও ইংল্যান্ডের বাকি ব্যাটাররা দলনায়ককে তেমন সঙ্গ দিতে পারেননি। ভারতীয় বোলারদের মিলিত প্রয়াসে ইংল্যান্ড ২০ ওভারে অল-আউট হয়ে যায় মাไত্র ১৩২ রানে।
ইডেনের বাইশগজে ২০ 𒁏ওভারে ইংল্যান্ডের ঝুলিয়ে দেওয়া টার্গেটে পৌঁছনো এমন কিছু কঠিন ছিল না। ভারত চাইলে ধীরে সুস্থে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে🔯 যেতে পারত। তবে টিম ইন্ডিয়া নিজেদের আগ্রাসী ব্র্য়ান্ডের ক্রিকেট থেকে সরে আসেনি। তাই পালটা ব্যাট করতে নেমে ক্রিজে ঝড় তোলেন দুই ভারতীয় ওপেনার। সুর ধরিয়ে দেন সঞ্জু স্যামসন। সেই ধারা কার্যত ম্যাচের শেষবেলা পর্যন্ত বজায় রাখেন অভিষেক শর্মা।
ভারত পালটা ব্যাট করতে নামলে ইংল্যান্ড শুরুতেই আক্রমণে নিয়ে আসে জোফ্রা আর্চারকে। প্রথম ওভারে ৬টি 🅺বল খেলে মোটে ১ রান সংগ্রহ করেন সঞ্জু স্যামসন। ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ওভারে মার্ক উডকে বল না দিয়ে আক্রমণে নিয়ে আসে গাস অ্যাটকিনসনকে। ব্রিটিশ দলনায়ক জোস বাটলার ভুলটা করে ফেলেন এখানেই।
দ্বিতীয় ওভারে গাস অ্যাটকিনসনের বল👍ে ৪টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন স্যামসন। ওভারের প্রথম ২টি বলে পরপর ২টি চার মারেন সঞ্জু। তৃতীয় বলে কোনও রান ওঠেনি। চতুর্থ বলে ছক্কা মারেন স্যামসন। ওভারের শেষ ২টি বলে ফের একজোড়া চার মারেন তিনি। সুতরাং, অ্যাটকিনসনের সেই ওভারে মোট ২২ রান ওঠে।
স্যামসন শেষমেশ ২০ বলে ২৬ রান করে আউট হন। তবে অভিষেক শর্মাকে সহজে আটকানো যায়♛নি। অভিষেক ৩টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২০ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শেষ পর্যন্✤ত ৩৪ বলে ৭৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। এমন ধুমধাড়াক্কা ইনিংসে অভিষেক মোট ৫টি চার ও ৮টি ছক্কা মারেন।
ভারত ১২.৫ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৩৩ রান তুলে ম্যাচ জিতে য♋ায়। অর্থাৎ, ৪৩ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জেতে টিম ইন্ডিয়া। সেই সুবাদে ৫ ম্যাচেরꦫ সিরিজে ১-০ লিড নিয়ে নেয় ভারতীয় দল।